গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহের পরিমাণ ও ধরন
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি অস্ত্র চালান পাঠিয়েছে। এসব চালানে অন্তর্ভুক্ত ছিল ১৪,০০০টি MK-84 (২,০০০ পাউন্ড) বোমা, ৬,৫০০টি MK-81 (৫০০ পাউন্ড) বোমা, ৩,০০০টি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ১,০০০টি BLU-109 বাঙ্কার-বাস্টার বোমা এবং ২,৬০০টি GBU-39 স্মার্ট বোমা। এছাড়া, ২৫টি F-35 যুদ্ধবিমান, ২৫টি F-15 যুদ্ধবিমান এবং ১২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার সরবরাহ করা হয়েছে ।
আইনি ও নৈতিক বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে। তারা উল্লেখ করেছেন যে, ইসরায়েল মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জার্মানি ইসরায়েলের গাজা অভিযানে কঠোর সমালোচনা করেছে এবং অস্ত্র রপ্তানি পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছে । এছাড়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে।
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ গাজায় মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত করেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে.......